হয়তো
এসবই নেহাত ভার্চুয়াল,
হয়তো
নেহাতই আনমনে কাছে থাকা।
হয়তো
নিছকই সময় যাপন শুধু—
তবুও
এভাবে তোমাতেই বেঁচে থাকা।
আগুনের
ঘ্রাণ হারিয়ে ফেলেছি কবেই,
পকেটে
জমানো খুচরো যত্ন-সুখ।
কর্পোরেটের
স্যুট – টাই পরা job-এ
লুকিয়ে
ফেলেছি বিস্ময় মাখা মুখ।
কাঁচা
আম আর তেঁতুলের টক বিষে
এগাছে
- ওগাছে কাটানো ঝিম্ দুপুর।
শাঁখের
আওয়াজে, সন্ধ্যার অবকাশে,
মন
ছুঁয়ে যেতো তোর পায়ের নূপুর।
হয়তো
এসবই ভুলে যাওয়া কোন কথা।
হয়তো
নেহাতই ঝরা সময়ের গান—
হয়তো
নিছকই ভুল করে তুলে আনা
অবুঝ
মনের না – হারানো অভিমান।
দু-দিকে
বিনুনী; আকাশী ফ্রকের ঘেরে
জড়
করে রাখা পাকা জাম। ভুলে গেছি।
মাছরাঙা
আজো মাছ খুঁজে খুঁজে ফেরে,
আমি
আজও একা খেলে যাই কানামাছি।
কতদিন
গেলো দেখিনি কখনো গুণে।
মনে
হয় তোর বয়স থমকে আছে—
কিচ্ছু
না বুঝে হঠাৎ, বৃষ্টিতে চুম্বনে—
শেষবার
তোকে ছুঁয়ে দেখা। মনে আছে।
এখন
সময় পাল্টে দিয়েছে সব।
চিনতে
পেরেও দূর থেকে তোকে দেখি;
কাছে
গেলে যদি ভুলে যাই শৈশব!
দূরত্ব
থাক। আমি কল্পনা আঁকি।
হয়তো
এসবই মধ্যবিত্ত, ক্লিশে।
হয়তো
নেহাতই virtuality, তবু—
তোমার
সাজানো বাস্তব মিলে মিশে
আমার
স্বপ্নে রোদ্দুর এঁকে যায়।।