"তোর চোখে আজ জল কেনরে মুখপুড়ি ?"
আকাশে লেগেছে সমুদ্র -নীল কাজল,
মেঘের ওড়না ঢাকতে পারেনা যৌবন।
অবুঝ সময়ে আনন্দ মাখা গন্ধ,
হিমেল রাতের শেষে জেগে ওঠে কাশ -বন।
কারো বুঝি ব্যস্ততা শুরু হয় ভোর রাতে
কারো রাত একই থাকে, দিন চলে কোনমতে।
কারো চোখ নেশাতুর, চোখে চোখ জুড়ে যায়
কারো প্রেম ছারখার, মুখ ঢাকে লজ্জায়..
কারো দিন, কারো রাত,কারো হাত ,কোন হাত
চোখ দান করে যায় ইশ্বর ভরসায়।
কোথাও মিলন সুর, কানাকানি, গুঞ্জন
কোথাও হতাশা ঢেকে কোনো মুখ ভাস্বর
কেউ খোঁজে শিকড়ের টান, প্রাণ, তর্পণ
কোথাও অন্ধ-গলি, সুমধুর কোন স্বর -
"তোর চোখে আজ জল কেন রে মুখপুড়ি ?"
কেন কোনো কিশোরীর মুখ ভার শাড়িতে !
হয়ত কোথাও কোনো কচি মন ব্যথাতুর ;
অঞ্জলি, চাওয়া পাওয়া, বাঁকা হাসি, রোদ্দুর
অভিমানী ভালোবাসা, ভালোবাসো দাবীতে।
মিলনের শেষ রাগে বিদায়ের বাজে সুর।
আমি, তুমি, আমরা ও সব শ্রোতা নির্বাক,
ভাঙ্গা ম্যারাপের কোনে একা ডাকে কালো কাক,
বছর ঘুরলে পাবে আগমনী রোদ্দুর।
বদলাবে কত কিছু ,
পৃথিবীর সব রঙ
বদলাবে চাওয়া পাওয়া
জীবনের যত ঢং
শুধু সেই কানা গলি, রঙচঙে মেয়েটা
বিরলে চোখের জল ঝরাবে সে দু-ফোঁটা ;
নষ্ট সে মেয়েটার, দুরের আপনজন
একই ভাবে বলবে, যে কথা চিরন্তন -
"তোর চোখে আজ জল কেন রে মুখপুড়ি ?
একবারই তো স্বীকৃতি হয়
মাটির জন্য, মায়ের পুজোয়;
আজ চোখ মোছ, কাঁদিস না আর,
মা এসেছেন আজকে আবার ; আনন্দ কর -
এমন দিনে মায়ের মেয়ের কান্না মানায় !"